গুনাহতে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছে

 আরিফ আজাদ'আরিফ আজাদ' কহেন

কোন গুনাহতে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছে প্রবল হয়ে উঠলে ভাববেন— এই গুনাহের কারণে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা যদি আপনার জীবন থেকে বারাকাহ উঠিয়ে নেন? আপনাকে দেওয়া নিয়ামতগুলো তিনি যদি এই গুনাহের কারণে ছিনিয়ে নেন আপনার কাছ থেকে, তখন কেমন হবে আপনার জীবন?
আল্লাহর দেওয়া অনেক নিয়ামত আপনার জীবনে বিদ্যমান— শারীরিক সুস্থতা, বাবা-মা'র বেঁচে থাকা, সন্তানাদি, ভালো একটা চাকরি, ভালো একটা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, ভালো একটা ক্যারিয়ার।
আপনি ভাববেন— যে পাপে আপনি এখন লিপ্ত হতে যাচ্ছেন তার শাস্তি হিশেবে যদি আপনার শরীরে বাসা বাঁধে কোন মরণব্যধি? যদি বাকি জীবনটা আপনাকে দৌঁড়াতে হয় হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে, তখন কেমন হবে জীবন?
যদি এই পাপের কারণে আল্লাহ আপনাকে আপনার বাবা-মা'র আদর স্নেহ থেকে চিরতরে বঞ্চিত করেন, যদি আপনার সন্তানের বাবা ডাক শোনা থেকে আপনাকে বঞ্চিত করেন, যদি তিনি কেড়ে নেন আপনার প্রিয় চাকরিটা? যদি আপনার ব্যবসায়ে তিনি ধ্বস নামান— কেমন উপভোগ্য হবে জীবনের সেই সময়গুলো?
ভাববেন— কোনটা অধিক বেশি দরকারি? আল্লাহর ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়ামতগুলো নিয়ে বেঁচে থাকা? নাকি, সাময়িক আনন্দের ওই পাপে নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়া?



পাপের তৎক্ষনাৎ কোন শাস্তি আল্লাহ দেন না, তবে একটা নিয়ামত তিনি তৎক্ষনাৎ তুলে নেন, আর সেটা হলো— ইবাদাতের আনন্দ৷
পাপ করার পর একজন ব্যক্তি কোনোভাবেই ইবাদাতগুলোতে পূর্ণ আনন্দ, উৎসাহ পায় না যতোক্ষণ না পরিপূর্ণভাবে সে আল্লাহর কাছে তাওবা করে। পাপ করার পর তার মন থাকে বিক্ষিপ্ত। তার হৃদয় থেকে সে সুকুন তথা প্রশান্তি হারিয়ে ফেলে। ফলে— সে সালাতে মনোযোগ দিতে পারে না, তিলাওয়াতে মনোযোগ দিতে পারে না, যিকির-আযকারে মনোযোগ দিতে পারে না।
পাপের দৃশ্যমান কোন শাস্তি না থাকলেও প্রাণহীন ইবাদাতের চাইতে বড় কোন শাস্তি একজন মুমিনের জন্য আর হতেই পারে না।

Comments